বিরোধী দল কংগ্রেস অল ইন্ডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে তথ্য চুরির চেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি করেছে । হোয়াটসঅ্যাপ স্নুপিং মামলায় সরকারের প্রতিক্রিয়া চাইলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তার সন্দেহের তির কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই।
এক টুইট বার্তায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘যদি বিজেপি বা সরকার ইজরায়েলি এজেন্সিগুলিকে সাংবাদিক, আইনজীবী, নেতাকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের ফোনে আড়ি পাতার জন্যে নিযুক্ত করে থাকে, তবে এটি মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা এবং জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক তদন্তমূলক একটি কলঙ্ক। সরকারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু দিকে ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা ইজরায়েলি স্পাইওয়ার নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তথ্য হাতানোর জন্যে নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুরোপুরিই বিভ্রান্তিকর, নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত সরকার। আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার। কোনো নিরপরাধ নাগরিক যাতে হেনস্থা না হন এবং তার গোপনীয়তা যাতে প্রকাশিত না হয়, তার জন্যে যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।’
মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক নিশ্চিত করে জানায়, বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবহারকারী তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে চলতি বছরের শুরুর দিকে তাদের হোয়াটসঅ্যাপের ওপর নজরদারি করেছে একটি ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার। মনে করা হচ্ছে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত দুই সপ্তাহ ব্যাপী কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক এবং নেতাকর্মীর হোয়াটসঅ্যাপের ওপর নজরদারি করেছে ওই সংস্থাটি।
মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপের মূল সংস্থা ফেসবুক ইজরায়েলি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা এনএসওয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, এই সংস্থাটি ২০টি দেশের এক হাজার ৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী, যার মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, কূটনীতিক, মানবাধিকার কর্মী এবং প্রবীণ সরকারি আধিকারিকের হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারকে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করেছে।